অভ্যন্তরের বিদ্রোহ
সবুজ বিপ্লব
শব্দেরা আজকাল মুখোশে ঢাকা—
তাদের শুদ্ধতা নেই, কেবল ছলনায় পাকা।
একটি জাতি দাঁড়িয়ে থাকে আয়নার সামনে,
নিজস্ব ছায়ায় মুগ্ধ— ভাবে, “এই তো শ্রেষ্ঠ আমি!”
মাঠ জুড়ে তরুণেরা হেঁটে চলে খালি পায়ে,
বুকে দাউ দাউ আগুন, চোখে অনিদ্রা-ভরা স্বপ্ন—
আর দূরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাথুরে করিডরে
বুদ্ধির শকুনেরা ছক আঁকে,
কীভাবে ভেঙে ফেলবে সম্ভাবনার হাড়গোড়।
তুমি বলেছিলে— “জাগো, শেকড়ের দিকে ফিরো,”
কিন্তু শহর আজ কোলাহলে গ্রাস করে আত্মার স্বর।
জন্ম নেয় এক আত্মবিস্মৃত জনতা—
যাদের মুখে নেই প্রশ্ন: “আমি কে? কোথায় আমার জন্মচিহ্ন?”
আমি কবি—তবু কণ্ঠে নেই আরাধনার সুর,
আমার কলম খোঁজে রক্ত, খোঁজে বিদ্রোহের ব্যাকরণ।
যেখানে ছফার মনন নেই, নজরুলের ধ্বনি নেই—
সেখানে কি কবিতা বাঁচে? না কি নিঃশব্দে ঝরে বেদনাজর্জর?
তবু আমি লিখি— প্রতিটি স্তবকে এক অদৃশ্য বিস্ফোরণ,
আমার অক্ষরে ফিরে আসে মাঠফাটা কৃষকের মুখ,
ছিন্নমূল ছাত্রের নিষ্ফল জিজ্ঞাসা, গাঁয়ের ধুলিমাখা গামছা—
আর কিছু অনুচ্চারিত প্রশ্ন
যা আজও আমাদের ভিতরে দাউ দাউ করে জ্বলে—
অভ্যন্তরের এক নিরব বিদ্রোহ হয়ে।
সবুজ বিপ্লব
শব্দেরা আজকাল মুখোশে ঢাকা—
তাদের শুদ্ধতা নেই, কেবল ছলনায় পাকা।
একটি জাতি দাঁড়িয়ে থাকে আয়নার সামনে,
নিজস্ব ছায়ায় মুগ্ধ— ভাবে, “এই তো শ্রেষ্ঠ আমি!”
মাঠ জুড়ে তরুণেরা হেঁটে চলে খালি পায়ে,
বুকে দাউ দাউ আগুন, চোখে অনিদ্রা-ভরা স্বপ্ন—
আর দূরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাথুরে করিডরে
বুদ্ধির শকুনেরা ছক আঁকে,
কীভাবে ভেঙে ফেলবে সম্ভাবনার হাড়গোড়।
তুমি বলেছিলে— “জাগো, শেকড়ের দিকে ফিরো,”
কিন্তু শহর আজ কোলাহলে গ্রাস করে আত্মার স্বর।
জন্ম নেয় এক আত্মবিস্মৃত জনতা—
যাদের মুখে নেই প্রশ্ন: “আমি কে? কোথায় আমার জন্মচিহ্ন?”
আমি কবি—তবু কণ্ঠে নেই আরাধনার সুর,
আমার কলম খোঁজে রক্ত, খোঁজে বিদ্রোহের ব্যাকরণ।
যেখানে ছফার মনন নেই, নজরুলের ধ্বনি নেই—
সেখানে কি কবিতা বাঁচে? না কি নিঃশব্দে ঝরে বেদনাজর্জর?
তবু আমি লিখি— প্রতিটি স্তবকে এক অদৃশ্য বিস্ফোরণ,
আমার অক্ষরে ফিরে আসে মাঠফাটা কৃষকের মুখ,
ছিন্নমূল ছাত্রের নিষ্ফল জিজ্ঞাসা, গাঁয়ের ধুলিমাখা গামছা—
আর কিছু অনুচ্চারিত প্রশ্ন
যা আজও আমাদের ভিতরে দাউ দাউ করে জ্বলে—
অভ্যন্তরের এক নিরব বিদ্রোহ হয়ে।